নেত্রকোনা ০৪:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইগাতীতে পাউবো’র বিধ্বস্ত স্লুইস গেইটটি কাজে আসছে না

  • আপডেট : ১১:১১:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ ডিসেম্বর ২০২২
  • ১৪৪

ঝিনাইগাতী প্রতিনিধি : শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার হাতিবান্ধা ইউনিয়নের মালিঝি নদীর উপর নির্মিত বিধ্বস্ত স্লুইস গেইটটি সংস্কার সম্প্রসারনের অভাবে কোনো কাজে আসছে না কৃষকদের। ফলে সরকারি উদ্যোগ ব্যাহত হবার পাশাপাশি কৃষকরা বঞ্চিত হচ্ছে স্লুইস গেইটের সুফল থেকে। ,

স্থানীয় কৃষকরা জানান, কৃষি ক্ষেত্রে উন্নয়ন ও কৃষকদের সেচ সুবিধা নিশ্চিত করনের লক্ষ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড ১৯৮৬ সালে মালিঝি নদীর ঘাগড়া – নয়াপাড়ায় প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে এ স্লুইস গেইটটি নির্মাণ করে । এ সময় স্লুইস গেইটের পাশে প্রায় ৫ একর জমি ও অধিগ্রহণ করা হয়। ,

ওই স্লুইস গেইটটি রক্ষণা-বেক্ষণের জন্য একটি ভবণও নির্মাণ করা হয়। এ ভবণে একজন কর্মচারীকেও নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু স্ল‚ইচ গেইটটি নির্মাণের এক বছর যেতে না যেতেই পাহাড়ি ঢলের পানির তোড়ে তা বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে। এরপর স্লুইস গেইটটি আর সংস্কার করা হয়নি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিয়োগকৃত ওই কর্মচারী কিছুদিন এখানে অবস্থানের পর সেও চলে যান বলে জানা যায়। ,’

এরপর থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্মিত স্লুইস গেইট ভবণসহ অধিগ্রহণকৃত জমিগুলো বেদখল হতে শুরু করে। সবর্তমানে তা অন্যের দখলে রয়েছে। যা সংরক্ষণের কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। পুন:নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়নি বিধ্বস্ত স্লুইস গেইটটিও। ফলে যে উদ্দেশ্য নিয়ে স্লুইস গেইটটি নির্মাণ করা হয়েছিল তা আর বাস্তবায়িত হয়নি। হাতিবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন ও স্থানীয় কৃষকরা পূর্বকন্ঠকে জানান, ওই স্লুইস গেইটটি সংস্কার অথবা এখানে একটি রাবার ড্যাম নির্মাণ করা হলেও কৃষি ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হবে। তিনি আরো বলেন, বিধ্বস্ত স্লুইস গেইটটি সংস্কার অথবা পুনঃনির্মাণ করা হলে। এলাকার কৃষকদের দীর্ঘদিনের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে। কৃষকরা পাবে স্বল্প মূল্যে পানি ও সেচ সুবিধা।

উপজেলা চেয়ারম্যান এসএমএ ওয়ারেজ নাইম পূর্বকন্ঠকে বলেন, বিধ্বস্ত স্লুইস গেইটটি পুনঃ নির্মাণ করার জন্য বিভিন্ন সভা-সেমিনারে আলোচনাও করা হয়েছে। কিন্তু আজো তা বাস্তবায়িত হয়নি। শেরপুর কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের খামার বাড়ির উপপরিচালক হুমায়ুন কবির বলেন, বিধ্বস্ত স্লুইস গেইটটি পুনঃ নির্মান করা হলে করা হলে কৃষকরা স্বল্প ম‚ল্যে সেচ সুবিধা। কৃষি ক্ষেত্রে উন্নয়ন সাধিত হবে। হবে কৃষকদের ভাগ্যের উন্নয়ন। ,

তিনি আরো বলেন, এক ও দু’ফসলী জমিগুলো অধিক ফসলী জমিতে পরিণত হবে। এতে প্রায় ২ হাজার কৃষক ৫শত হেক্টর জমি অধিক ফলনশীল জমিতে পরিণত হবে। শেরপুরের পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী মোঃ শাহজাহান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পূর্বকন্ঠকে বলেন, স্লুইস গেইটটি পুনঃনির্মানের বিষয়সহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেদখলীয় জমি উদ্ধারের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরকে অবহিত করা হয়েছে। নির্দেশনা পেলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। ‘

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি। আমাদের প্রকাশনা “পূর্বকন্ঠ” স্বাধীনতার চেতনায় একটি নিরপেক্ষ জাতীয় অনলাইন । পাঠক আমাদের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরনা। পূর্বকণ্ঠ কথা বলে বাঙালির আত্মপ্রত্যয়ী আহ্বান ও ত্যাগে অর্জিত স্বাধীনতার। কথা বলে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে। ছড়িয়ে দিতে এ চেতনা দেশের প্রত্যেক কোণে কোণে। আমরা রাষ্ট্রের আইন কানুন, রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দেশপ্রেম ও রাষ্ট্রীয় আইন বিরোধী এবং বাঙ্গালীর আবহমান কালের সামাজিক সহনশীলতার বিপক্ষে পূর্বকন্ঠ কখনো সংবাদ প্রকাশ করে না। আমরা সকল ধর্মমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, কোন ধর্মমত বা তাদের অনুসারীদের অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে আমরা কিছু প্রকাশ করি না। আমাদের সকল প্রচেষ্টা পাঠকের সংবাদ চাহিদাকে কেন্দ্র করে। তাই পাঠকের যে কোনো মতামত আমরা সাদরে গ্রহন করব।

পূর্বধলায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিনের দাফন সম্পন্ন

ঝিনাইগাতীতে পাউবো’র বিধ্বস্ত স্লুইস গেইটটি কাজে আসছে না

আপডেট : ১১:১১:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ ডিসেম্বর ২০২২

ঝিনাইগাতী প্রতিনিধি : শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার হাতিবান্ধা ইউনিয়নের মালিঝি নদীর উপর নির্মিত বিধ্বস্ত স্লুইস গেইটটি সংস্কার সম্প্রসারনের অভাবে কোনো কাজে আসছে না কৃষকদের। ফলে সরকারি উদ্যোগ ব্যাহত হবার পাশাপাশি কৃষকরা বঞ্চিত হচ্ছে স্লুইস গেইটের সুফল থেকে। ,

স্থানীয় কৃষকরা জানান, কৃষি ক্ষেত্রে উন্নয়ন ও কৃষকদের সেচ সুবিধা নিশ্চিত করনের লক্ষ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড ১৯৮৬ সালে মালিঝি নদীর ঘাগড়া – নয়াপাড়ায় প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে এ স্লুইস গেইটটি নির্মাণ করে । এ সময় স্লুইস গেইটের পাশে প্রায় ৫ একর জমি ও অধিগ্রহণ করা হয়। ,

ওই স্লুইস গেইটটি রক্ষণা-বেক্ষণের জন্য একটি ভবণও নির্মাণ করা হয়। এ ভবণে একজন কর্মচারীকেও নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু স্ল‚ইচ গেইটটি নির্মাণের এক বছর যেতে না যেতেই পাহাড়ি ঢলের পানির তোড়ে তা বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে। এরপর স্লুইস গেইটটি আর সংস্কার করা হয়নি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিয়োগকৃত ওই কর্মচারী কিছুদিন এখানে অবস্থানের পর সেও চলে যান বলে জানা যায়। ,’

এরপর থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্মিত স্লুইস গেইট ভবণসহ অধিগ্রহণকৃত জমিগুলো বেদখল হতে শুরু করে। সবর্তমানে তা অন্যের দখলে রয়েছে। যা সংরক্ষণের কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। পুন:নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়নি বিধ্বস্ত স্লুইস গেইটটিও। ফলে যে উদ্দেশ্য নিয়ে স্লুইস গেইটটি নির্মাণ করা হয়েছিল তা আর বাস্তবায়িত হয়নি। হাতিবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন ও স্থানীয় কৃষকরা পূর্বকন্ঠকে জানান, ওই স্লুইস গেইটটি সংস্কার অথবা এখানে একটি রাবার ড্যাম নির্মাণ করা হলেও কৃষি ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হবে। তিনি আরো বলেন, বিধ্বস্ত স্লুইস গেইটটি সংস্কার অথবা পুনঃনির্মাণ করা হলে। এলাকার কৃষকদের দীর্ঘদিনের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে। কৃষকরা পাবে স্বল্প মূল্যে পানি ও সেচ সুবিধা।

উপজেলা চেয়ারম্যান এসএমএ ওয়ারেজ নাইম পূর্বকন্ঠকে বলেন, বিধ্বস্ত স্লুইস গেইটটি পুনঃ নির্মাণ করার জন্য বিভিন্ন সভা-সেমিনারে আলোচনাও করা হয়েছে। কিন্তু আজো তা বাস্তবায়িত হয়নি। শেরপুর কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের খামার বাড়ির উপপরিচালক হুমায়ুন কবির বলেন, বিধ্বস্ত স্লুইস গেইটটি পুনঃ নির্মান করা হলে করা হলে কৃষকরা স্বল্প ম‚ল্যে সেচ সুবিধা। কৃষি ক্ষেত্রে উন্নয়ন সাধিত হবে। হবে কৃষকদের ভাগ্যের উন্নয়ন। ,

তিনি আরো বলেন, এক ও দু’ফসলী জমিগুলো অধিক ফসলী জমিতে পরিণত হবে। এতে প্রায় ২ হাজার কৃষক ৫শত হেক্টর জমি অধিক ফলনশীল জমিতে পরিণত হবে। শেরপুরের পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী মোঃ শাহজাহান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পূর্বকন্ঠকে বলেন, স্লুইস গেইটটি পুনঃনির্মানের বিষয়সহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেদখলীয় জমি উদ্ধারের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরকে অবহিত করা হয়েছে। নির্দেশনা পেলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। ‘