এ কে এম আব্দুল্লাহ, নেত্রকোনা ঃ
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের আসন্ন ৬ষ্ঠ কেন্দ্রীয় কাউন্সিলে সভাপতি পদে প্রচার প্রচারনায় নেত্রকোনার মোহাম্মদ এরশাদ খান অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন।
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র ভ্যানগার্ড হচ্ছে ছাত্রদল। সকল প্রকার অন্যায় অবিচার ও শোষনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কণ্ঠ, সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের অধিকার আদায় এবং কল্যাণে নিবেদিত সংগঠন হচ্ছে ছাত্রদল।
স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে এই সংগঠনটি অগ্রণী ভূমিকা পালন করে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের প্রিয় সংগঠনের পরিণত হয়। ওয়ান ইলেভেনের সময় থেকে এ সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে জেল জুলুম হুলিয়া, অপহরণ, খুন, গুম এবং অব্যাহত অত্যাচার নির্যাতনের কারণে দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়ার পাশাপাশি চেইন অফ কমান্ড ভেঙ্গে পড়েছে।
দীর্ঘ ২৭ বছর পর ১৪ সেপ্টম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির ৬ষ্ঠ কাউন্সিল অধিবেশন। কাউন্সিল অধিবেশনকে সামনে রেখে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশীরা তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সমর্থণ লাভের আশায় ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। সেই সাথে কেন্দ্রীয় হাই-কমান্ডের আর্শিবাদ লাভেরও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে আসার আলোচনায় অনেকের নাম শোনা গেলেও সভাপতি পদে প্রচার প্রচারণায় এগিয়ে রয়েছেন নেত্রকোনার সন্তান মোহাম্মদ এরশাদ খান। তিনি নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা উপজেলার রানীগাঁও গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘পাবলিক এডমিনিস্ট্রেশন’ বিষয়ে অনার্স ও মাস্টার্স করেছেন।
ছাত্রদলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা কেন্দ্রীয় সভাপতি হিসেবে মোহাম্মদ এরশাদ খানকে দেখতে চাচ্ছেন। তাঁর পক্ষে বিভিন্ন জেলায় জেলায় গিয়ে ভোটারদের দোয়া ও সমর্থণ কামনা করছেন।
ছাত্রদলের বেশীর ভাগ ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকর্মী মনে করছেন মোহাম্মদ এরশাদ খান সভাপতি হলে ছাত্রদল উজ্জীবিত হবে এবং বিএনপির রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে। তিনি সাধারণ শিক্ষার্থীর জন্য কাজ করতে পারবেন।
সকল প্রকার অত্যাচার নির্যাতন ও জেল জুলুম হুলিয়াকে উপেক্ষা করে বিএনপি’র চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কারামুক্তির আন্দোলন এবং তারুণ্যের অহংকার আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার আন্দোলনে তিনি রাজপথে লড়াকু সৈনিকের ভূমিকা পালন করে আসছেন।
দক্ষ সংগঠক এবং ক্লিন ইমেজের কারনে ছাত্রদলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের কাছে মোহাম্মদ এরশাদ খান ব্যাপক জনপ্রিয়।
মোহাম্মদ এরশাদ খান বলেন, ‘ছাত্রদলের শক্ত অবস্থান তৈরি, শিক্ষার্থীদের কল্যাণে এবং বিএনপির রাজিনীতিতে আমার জীবন উৎসর্গ করতে চাই।’