নেত্রকোনা ১২:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গৌরীপুরে শ্রেষ্ট প্রাথমিক বিদ্যালয় বাছাইয়ে অনিয়মের অভিযোগ

  • আপডেট : ০৫:১৬:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ ডিসেম্বর ২০১৯
  • ৪৩৪

গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি :

জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক-২০১৯ উপলক্ষে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলায় শ্রেষ্ট প্রাথমিক বিদ্যালয় বাছাইয়ে ক্যাটাগড়ি অনুসরণ না করে লটারির মাধ্যমে বিদ্যালয় নির্বাচনের অভিযোগ ওঠেছে সংশ্লিষ্ট কমিটির বিরুদ্ধে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গৌরীপুর পৌর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এসএমসি’র সভাপতি বিধু ভূষণ দাস ও পিটিএ কমিটির সভাপতি নিজাম উদ্দিন বাবুল এ অভিযোগ করেন।

গৌরীপুর পৌর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিটিএ কমিটির সভাপতি নিজাম উদ্দিন বাবুল জানান, জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক-২০১৯ উপলক্ষে উপজেলার শ্রেষ্ট বিদ্যালয় হিসেবে লটারির মাধ্যমে সম্প্রতি চান্দের সাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে নির্বাচিত করা হয়েছে। এক্ষেত্রে বিদ্যালয় বাছাই ছকে উল্লেখিত ক্যাটাগরির মানবন্টন অনুসরণ করা হয়নি।

তিনি বলেন, চান্দের সাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শ্রেষ্ট হওয়ার ক্যাটাগরিতে পৌর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চেয়ে অনেক পিছিয়ে রয়েছে। লটারির মাধ্যমে একটি স্কুলের মান নির্নয় করার কারনে স্থানীয় সচেতন অভিভাবকরা হতবাক হয়ে পড়েন।

উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর মডেল সরকারি প্রাথমিক স্কুলের এসএমসি’র সভাপতি বিধু ভূষণ দাস জানান, পৌর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ময়মনসিংহ জেলার অন্যতম বিদ্যালয়। শিক্ষার্থীদের ফলাফল ও অন্যান্য কার্যক্রমে অগ্রগামী এ স্কুলটি শ্রেষ্ট হওয়ার সকল ক্যাটাগরিতে অনেক এগিয়ে রয়েছে।

তিনি বলেন, বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীদের উৎসাহ, উদ্দীপনা, মনযোগ ও গতিশীলতা বৃদ্ধির জন্য শ্রেষ্ট বিদ্যালয় বাছাই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ইচ্ছামত পক্ষপাতিত্ব করে শ্রেষ্ট বিদ্যালয় নির্বাচন করা হলে শিক্ষকদের মাঝে প্রতিযোগিতা ও কাজ করার আগ্রহ কমে যাবে। এটা অভিভাবক মহলে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হবে। তাই শ্রেষ্ট বিদ্যালয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে সুষ্ঠ ও সঠিক প্রক্রিয়া অনুসরণের মাধ্যমে পুনঃবিবেচনার দাবি করেন তিনি।

চান্দের সাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসরিন বিনতে ইসলাম জানান, শ্রেষ্ট বিদ্যালয় বাছাইয়ে ক্যাটাগরি অনুসরণ করেই তাঁর স্কুলকে শ্রেষ্ট ঘোষণা করেছেন সংশ্লিষ্ট যাচাই-বাছাই কমিটি।

পৌর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এএকেএম মাজহারুল আনোয়ার ফেরদৌস জানান, লটারির মাধ্যমে শ্রেষ্ট বিদ্যালয় নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট যাচাই-বাছাই কমিটির সিদ্ধান্ত তিনি মেনে নিলেও স্কুলের এসএমসি, পিটিএ কমিটি ও অভিভাবকরা এতে ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।

উপজেলা শ্রেষ্ট বিদ্যালয় যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্য সচিব উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মনিকা পারভীনের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে, তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

উপজেলা শ্রেষ্ট বিদ্যালয় যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেঁজুতি ধর শ্রেষ্ট বিদ্যালয় বাছাইয়ে কোন অনিয়ম হয়নি বলে উল্লেখ করে জানান, যাচাই-বাছাইয়ে সংশ্লিষ্ট উপ কমিটির সদস্যদের সমান নম্বর পায় পৌর মডেল ও চান্দের সাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। সমান নম্বর পাওয়ার পর তিনিসহ কমিটির অন্য সদস্যরা দুটি স্কুল পরিদর্শন করেন। এরপর লটারির মাধ্যমে শ্রেষ্ট বিদ্যালয় নির্বাচন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি। আমাদের প্রকাশনা “পূর্বকন্ঠ” স্বাধীনতার চেতনায় একটি নিরপেক্ষ জাতীয় অনলাইন । পাঠক আমাদের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরনা। পূর্বকণ্ঠ কথা বলে বাঙালির আত্মপ্রত্যয়ী আহ্বান ও ত্যাগে অর্জিত স্বাধীনতার। কথা বলে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে। ছড়িয়ে দিতে এ চেতনা দেশের প্রত্যেক কোণে কোণে। আমরা রাষ্ট্রের আইন কানুন, রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দেশপ্রেম ও রাষ্ট্রীয় আইন বিরোধী এবং বাঙ্গালীর আবহমান কালের সামাজিক সহনশীলতার বিপক্ষে পূর্বকন্ঠ কখনো সংবাদ প্রকাশ করে না। আমরা সকল ধর্মমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, কোন ধর্মমত বা তাদের অনুসারীদের অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে আমরা কিছু প্রকাশ করি না। আমাদের সকল প্রচেষ্টা পাঠকের সংবাদ চাহিদাকে কেন্দ্র করে। তাই পাঠকের যে কোনো মতামত আমরা সাদরে গ্রহন করব।

গৌরীপুরে শ্রেষ্ট প্রাথমিক বিদ্যালয় বাছাইয়ে অনিয়মের অভিযোগ

আপডেট : ০৫:১৬:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ ডিসেম্বর ২০১৯

গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি :

জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক-২০১৯ উপলক্ষে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলায় শ্রেষ্ট প্রাথমিক বিদ্যালয় বাছাইয়ে ক্যাটাগড়ি অনুসরণ না করে লটারির মাধ্যমে বিদ্যালয় নির্বাচনের অভিযোগ ওঠেছে সংশ্লিষ্ট কমিটির বিরুদ্ধে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গৌরীপুর পৌর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এসএমসি’র সভাপতি বিধু ভূষণ দাস ও পিটিএ কমিটির সভাপতি নিজাম উদ্দিন বাবুল এ অভিযোগ করেন।

গৌরীপুর পৌর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিটিএ কমিটির সভাপতি নিজাম উদ্দিন বাবুল জানান, জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক-২০১৯ উপলক্ষে উপজেলার শ্রেষ্ট বিদ্যালয় হিসেবে লটারির মাধ্যমে সম্প্রতি চান্দের সাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে নির্বাচিত করা হয়েছে। এক্ষেত্রে বিদ্যালয় বাছাই ছকে উল্লেখিত ক্যাটাগরির মানবন্টন অনুসরণ করা হয়নি।

তিনি বলেন, চান্দের সাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শ্রেষ্ট হওয়ার ক্যাটাগরিতে পৌর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চেয়ে অনেক পিছিয়ে রয়েছে। লটারির মাধ্যমে একটি স্কুলের মান নির্নয় করার কারনে স্থানীয় সচেতন অভিভাবকরা হতবাক হয়ে পড়েন।

উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর মডেল সরকারি প্রাথমিক স্কুলের এসএমসি’র সভাপতি বিধু ভূষণ দাস জানান, পৌর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ময়মনসিংহ জেলার অন্যতম বিদ্যালয়। শিক্ষার্থীদের ফলাফল ও অন্যান্য কার্যক্রমে অগ্রগামী এ স্কুলটি শ্রেষ্ট হওয়ার সকল ক্যাটাগরিতে অনেক এগিয়ে রয়েছে।

তিনি বলেন, বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীদের উৎসাহ, উদ্দীপনা, মনযোগ ও গতিশীলতা বৃদ্ধির জন্য শ্রেষ্ট বিদ্যালয় বাছাই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ইচ্ছামত পক্ষপাতিত্ব করে শ্রেষ্ট বিদ্যালয় নির্বাচন করা হলে শিক্ষকদের মাঝে প্রতিযোগিতা ও কাজ করার আগ্রহ কমে যাবে। এটা অভিভাবক মহলে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হবে। তাই শ্রেষ্ট বিদ্যালয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে সুষ্ঠ ও সঠিক প্রক্রিয়া অনুসরণের মাধ্যমে পুনঃবিবেচনার দাবি করেন তিনি।

চান্দের সাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসরিন বিনতে ইসলাম জানান, শ্রেষ্ট বিদ্যালয় বাছাইয়ে ক্যাটাগরি অনুসরণ করেই তাঁর স্কুলকে শ্রেষ্ট ঘোষণা করেছেন সংশ্লিষ্ট যাচাই-বাছাই কমিটি।

পৌর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এএকেএম মাজহারুল আনোয়ার ফেরদৌস জানান, লটারির মাধ্যমে শ্রেষ্ট বিদ্যালয় নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট যাচাই-বাছাই কমিটির সিদ্ধান্ত তিনি মেনে নিলেও স্কুলের এসএমসি, পিটিএ কমিটি ও অভিভাবকরা এতে ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।

উপজেলা শ্রেষ্ট বিদ্যালয় যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্য সচিব উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মনিকা পারভীনের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে, তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

উপজেলা শ্রেষ্ট বিদ্যালয় যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেঁজুতি ধর শ্রেষ্ট বিদ্যালয় বাছাইয়ে কোন অনিয়ম হয়নি বলে উল্লেখ করে জানান, যাচাই-বাছাইয়ে সংশ্লিষ্ট উপ কমিটির সদস্যদের সমান নম্বর পায় পৌর মডেল ও চান্দের সাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। সমান নম্বর পাওয়ার পর তিনিসহ কমিটির অন্য সদস্যরা দুটি স্কুল পরিদর্শন করেন। এরপর লটারির মাধ্যমে শ্রেষ্ট বিদ্যালয় নির্বাচন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।