নেত্রকোনা ১১:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ক্লাস না করেও পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ মেলে রাবির ফোকলোর বিভাগে

  • আপডেট : ১১:৩৩:২১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০১৯
  • ২১৯

আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের বাড়তি সমর্থন পেতে বিএনপিপন্থী সভাপতির নিয়মবহির্ভুতভাবে এ অনুমোদন-

মেহেদী হাসান,রাবি সংবাদদাতা:

নিয়ম বহির্ভুতভাবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের সারাবছর ক্লাস না করা অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় সুযোগ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত বলে জানা গেছে। এছাড়া আওয়ামীপন্থী প্রভাবশালী শিক্ষকদের নিকট বাড়তি সমর্থন পেতে বিভাগের বিএনপিপন্থী সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আখতার হোসেন নিয়ম বহির্ভুতভাবে এ অনুমোদন প্রদান করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। এদিকে নিয়মিত ক্লাস করে বিভাগের এমন শিক্ষার্থীদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।

বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ অনুসারে- চুড়ান্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রত্যেক শিক্ষার্থীর ক্লাসে অবশ্যই ন্যুনতম ৭৫ শতাংশ উপস্থিতি থাকতে হবে। তবে কোনো কারণবশত উপস্থিতি ৬০-৭৫ শতাংশের মধ্যে হলে জরিমানা প্রদান সাপেক্ষে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। কিন্তু উপস্থিতি ৬০ শতাংশের কম হলে কোনোভাবেই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না।

বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হিসাব অনুযায়ি প্রথম বর্ষের ৭৫জনের মধ্যে নন-কলেজিয়েট ১৪জন ও ডিস-কলেজিয়েট ১৪জন, দ্বিতীয় বর্ষের ৫৪জনের মধ্যে নন-কলেজিয়েট ২০জন ও ডিস-কলেজিয়েট ১০জন, তৃতীয় বর্ষে ৫৫জনের মধ্যে নন-কলেজিয়েট ৯জন ও ডিস-কলেজিয়েট ১২জন, চতুর্থ বর্ষের ৫০জনের মধ্যে নন-কলেজিয়েট ১৬জন ও ডিস-কলেজিয়েট ৮জন এবং মাস্টার্সের ৫৬ জনের মধ্যে নন-কলেজিয়েট ১৬জন ও ডিস-কলেজিয়েট হয় ১২জন। সবমিলিয়ে দেখা যায় বিভাগের মোট ২৯০জন শিক্ষার্থীর মধ্যে এ বছর নন-কলেজিয়েট হয়েছে প্রায় ২৬শতাংশ এবং ডিস-কয়েজিয়েট হয়েছে প্রায় ২৫শতাংশ। এসব ডিস-কলেজিয়েট শিক্ষার্থীর মধ্যে ১২জন সারাবছরে ১০শতাংশ ক্লাসও করেন নি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এ বছর অনার্সের চারটি বর্ষ ও মাস্টার্সের পরীক্ষার ফরম-ফিল-আপের পূর্বে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির বিষয়টি হিসেব করে দেখা যায় ডিস-কলেজিয়েটদের মধ্যে অধিকাংশই ছাত্রলীগ করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসনের বিভিন্ন পদে থাকা বিভাগের আওয়ামীপন্থী প্রভাবশালী বেশ কয়েকজন শিক্ষক সভাপতিকে ডিস-কলেজিয়েট শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য অনুমোদন দিতে বলেন। পরবর্তীতে একাডেমিক কমিটির মিটিংয়ে এ নিয়ে কথা হলে উপস্থিত ১৩জন শিক্ষকের মদ্যে চারজন শিক্ষক উপস্থিতি সর্বোচ্চ ৪০-৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দেওয়া যেতে পারে উল্লেখ করে ডিসকলেজিয়েট শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ব্যাপারে ঘোর বিরোধীতা করেন। কিন্তু মিটিংয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠের সম্মতির ভিত্তিতে উপস্থিতি ১ শতাংশেরও কম রয়েছে এমন শিক্ষার্থীসহ সব ডিস-কলেজিয়েটদের পরীক্ষা দেওয়ার হয়।

বিভাগ সুত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ০২ ডিসেম্বর বিভাগের বিএনপিপন্থী অধ্যাপক ড. মো. আখতার হোসেন সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। আগামী ০২ ডিসেম্বর তাঁর দায়িত্বের মেয়াদ শেষ হবে এবং আওয়ামীপন্থী অধ্যাপক মোস্তফা তারিকুল আহসান সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। মেয়াদ শেষে কেউ যাতে কোনো বিষয়ে অভিযোগ তুলতে না পারে সেজন্য আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের হাতে রাখতে তাদের কথামতো ডিস-কলেজিয়েটদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ব্যাপারে পূর্ণসমর্থন জানান। অন্যদিকে ডিসকলেজিয়েটদের পরীক্ষায় সম্মতি প্রদানকারী শিক্ষকদের অধিকাংশই বিভাগের একাডেমিক কার্যক্রমে বড্ড অনিহা থাকার অভিযোগ রয়েছে। এমনও আছে এদের কয়েকজন সারাবছরে মাত্র ১-২টি ক্লাস নিয়েছেন। তবে অধিকাংশই একটি বর্ষে সারাবছরে ১২-১৩টির বেশি ক্লাস নেন নি। পরীক্ষার হলে ঠিকমতো দায়িত্বপালন না করা, ঠিকমত পরীক্ষার খাতা না দেখাসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। অনেকটা নিজেদের অপরাধ ধামাচাপা দিতেই ডিস-কলেজিয়েটদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে বলে ধারণা শিক্ষার্থীদের।

২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের এক প্রাক্তন শিক্ষার্থী জানান, আমাদের ক্লাসের আমিসহ দুইজন ডিস-কলেজিয়েট ছিলাম। পলিটিক্যাল পাওয়ার না থাকায় আমাদের পরীক্ষা দিতে দেওয়া হয়নি। ওই বছর চতুর্থ বর্ষের এক শিক্ষার্থী গর্ভবতী থাকায় ডিসকলেজিয়েট হয়। এজন্য তাকে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়নি। পরের বছর পরীক্ষা দিয়ে মাস্টার্স না করেই চলে যান তিনি। এর আগে দ্বিতীয় বর্ষে থাকাকালে আমাদের এক বান্ধবী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিল। হাসপাতালে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য আবেদন করেছিল, কিন্ত তাকে অনুমতি দেওয়া হয়নি। তবে এখন নাকি উপস্থিতি একেবারে না থাকলেও পরীক্ষা দেওয়া যায়।

জানতে চাইলে এ বিষয়ে ফোকলোর বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক আখতার হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের যেমন একটি নিয়ম আছে তেমনি বিভাগের একাডেমিক কমিটিরও একটা নিজস্ব ক্ষমতা আছে। তাই ডিসকলেজিয়েট শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা দেওয়া হবে কিনা সে বিষয়টি একাডেমিক কমিটিকে জানাই। আর একাডেমিক কমিটির সভায় অধিকাংশ শিক্ষকের সমর্থনে তাদের পরীক্ষা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী একজন সভাপতি হিসেবে আমি তাদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অনুমতি দিয়েছি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. বাবুল ইসলাম বলেন, প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে কোনো বিভাগ চাইলে ডিসকলেজিয়েট শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে পারে। কিন্তু ফোকলোর বিভাগের বিষয়টি সম্পর্কে আমার জানা নেই। তবে তারা প্রশাসনের অনুমতি নিয়েছে কিনা সেটি নথি দেখে বলতে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমার বর্তমান ঠিকানা স্টেশন রোড, পূর্বধলা, নেত্রকোনা। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমার ধর্ম ইসলাম। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি। প্রয়োজনে: ০১৭১৩৫৭৩৫০২

দুর্গাপুরে আওয়ামী লীগের কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

ক্লাস না করেও পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ মেলে রাবির ফোকলোর বিভাগে

আপডেট : ১১:৩৩:২১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০১৯

আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের বাড়তি সমর্থন পেতে বিএনপিপন্থী সভাপতির নিয়মবহির্ভুতভাবে এ অনুমোদন-

মেহেদী হাসান,রাবি সংবাদদাতা:

নিয়ম বহির্ভুতভাবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের সারাবছর ক্লাস না করা অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় সুযোগ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত বলে জানা গেছে। এছাড়া আওয়ামীপন্থী প্রভাবশালী শিক্ষকদের নিকট বাড়তি সমর্থন পেতে বিভাগের বিএনপিপন্থী সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আখতার হোসেন নিয়ম বহির্ভুতভাবে এ অনুমোদন প্রদান করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। এদিকে নিয়মিত ক্লাস করে বিভাগের এমন শিক্ষার্থীদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।

বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ অনুসারে- চুড়ান্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রত্যেক শিক্ষার্থীর ক্লাসে অবশ্যই ন্যুনতম ৭৫ শতাংশ উপস্থিতি থাকতে হবে। তবে কোনো কারণবশত উপস্থিতি ৬০-৭৫ শতাংশের মধ্যে হলে জরিমানা প্রদান সাপেক্ষে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। কিন্তু উপস্থিতি ৬০ শতাংশের কম হলে কোনোভাবেই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না।

বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হিসাব অনুযায়ি প্রথম বর্ষের ৭৫জনের মধ্যে নন-কলেজিয়েট ১৪জন ও ডিস-কলেজিয়েট ১৪জন, দ্বিতীয় বর্ষের ৫৪জনের মধ্যে নন-কলেজিয়েট ২০জন ও ডিস-কলেজিয়েট ১০জন, তৃতীয় বর্ষে ৫৫জনের মধ্যে নন-কলেজিয়েট ৯জন ও ডিস-কলেজিয়েট ১২জন, চতুর্থ বর্ষের ৫০জনের মধ্যে নন-কলেজিয়েট ১৬জন ও ডিস-কলেজিয়েট ৮জন এবং মাস্টার্সের ৫৬ জনের মধ্যে নন-কলেজিয়েট ১৬জন ও ডিস-কলেজিয়েট হয় ১২জন। সবমিলিয়ে দেখা যায় বিভাগের মোট ২৯০জন শিক্ষার্থীর মধ্যে এ বছর নন-কলেজিয়েট হয়েছে প্রায় ২৬শতাংশ এবং ডিস-কয়েজিয়েট হয়েছে প্রায় ২৫শতাংশ। এসব ডিস-কলেজিয়েট শিক্ষার্থীর মধ্যে ১২জন সারাবছরে ১০শতাংশ ক্লাসও করেন নি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এ বছর অনার্সের চারটি বর্ষ ও মাস্টার্সের পরীক্ষার ফরম-ফিল-আপের পূর্বে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির বিষয়টি হিসেব করে দেখা যায় ডিস-কলেজিয়েটদের মধ্যে অধিকাংশই ছাত্রলীগ করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসনের বিভিন্ন পদে থাকা বিভাগের আওয়ামীপন্থী প্রভাবশালী বেশ কয়েকজন শিক্ষক সভাপতিকে ডিস-কলেজিয়েট শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য অনুমোদন দিতে বলেন। পরবর্তীতে একাডেমিক কমিটির মিটিংয়ে এ নিয়ে কথা হলে উপস্থিত ১৩জন শিক্ষকের মদ্যে চারজন শিক্ষক উপস্থিতি সর্বোচ্চ ৪০-৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দেওয়া যেতে পারে উল্লেখ করে ডিসকলেজিয়েট শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ব্যাপারে ঘোর বিরোধীতা করেন। কিন্তু মিটিংয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠের সম্মতির ভিত্তিতে উপস্থিতি ১ শতাংশেরও কম রয়েছে এমন শিক্ষার্থীসহ সব ডিস-কলেজিয়েটদের পরীক্ষা দেওয়ার হয়।

বিভাগ সুত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ০২ ডিসেম্বর বিভাগের বিএনপিপন্থী অধ্যাপক ড. মো. আখতার হোসেন সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। আগামী ০২ ডিসেম্বর তাঁর দায়িত্বের মেয়াদ শেষ হবে এবং আওয়ামীপন্থী অধ্যাপক মোস্তফা তারিকুল আহসান সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। মেয়াদ শেষে কেউ যাতে কোনো বিষয়ে অভিযোগ তুলতে না পারে সেজন্য আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের হাতে রাখতে তাদের কথামতো ডিস-কলেজিয়েটদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ব্যাপারে পূর্ণসমর্থন জানান। অন্যদিকে ডিসকলেজিয়েটদের পরীক্ষায় সম্মতি প্রদানকারী শিক্ষকদের অধিকাংশই বিভাগের একাডেমিক কার্যক্রমে বড্ড অনিহা থাকার অভিযোগ রয়েছে। এমনও আছে এদের কয়েকজন সারাবছরে মাত্র ১-২টি ক্লাস নিয়েছেন। তবে অধিকাংশই একটি বর্ষে সারাবছরে ১২-১৩টির বেশি ক্লাস নেন নি। পরীক্ষার হলে ঠিকমতো দায়িত্বপালন না করা, ঠিকমত পরীক্ষার খাতা না দেখাসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। অনেকটা নিজেদের অপরাধ ধামাচাপা দিতেই ডিস-কলেজিয়েটদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে বলে ধারণা শিক্ষার্থীদের।

২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের এক প্রাক্তন শিক্ষার্থী জানান, আমাদের ক্লাসের আমিসহ দুইজন ডিস-কলেজিয়েট ছিলাম। পলিটিক্যাল পাওয়ার না থাকায় আমাদের পরীক্ষা দিতে দেওয়া হয়নি। ওই বছর চতুর্থ বর্ষের এক শিক্ষার্থী গর্ভবতী থাকায় ডিসকলেজিয়েট হয়। এজন্য তাকে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়নি। পরের বছর পরীক্ষা দিয়ে মাস্টার্স না করেই চলে যান তিনি। এর আগে দ্বিতীয় বর্ষে থাকাকালে আমাদের এক বান্ধবী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিল। হাসপাতালে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য আবেদন করেছিল, কিন্ত তাকে অনুমতি দেওয়া হয়নি। তবে এখন নাকি উপস্থিতি একেবারে না থাকলেও পরীক্ষা দেওয়া যায়।

জানতে চাইলে এ বিষয়ে ফোকলোর বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক আখতার হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের যেমন একটি নিয়ম আছে তেমনি বিভাগের একাডেমিক কমিটিরও একটা নিজস্ব ক্ষমতা আছে। তাই ডিসকলেজিয়েট শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা দেওয়া হবে কিনা সে বিষয়টি একাডেমিক কমিটিকে জানাই। আর একাডেমিক কমিটির সভায় অধিকাংশ শিক্ষকের সমর্থনে তাদের পরীক্ষা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী একজন সভাপতি হিসেবে আমি তাদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অনুমতি দিয়েছি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. বাবুল ইসলাম বলেন, প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে কোনো বিভাগ চাইলে ডিসকলেজিয়েট শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে পারে। কিন্তু ফোকলোর বিভাগের বিষয়টি সম্পর্কে আমার জানা নেই। তবে তারা প্রশাসনের অনুমতি নিয়েছে কিনা সেটি নথি দেখে বলতে হবে।