গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার বড়ইবাড়ি এবং দরবাড়িয়া এলাকায় গত ৯ই জানুয়ারি পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমান অভিযান চালিয়ে ৪টি অবৈধ ইট ভাটাকে ২০লক্ষ টাকা জরিমানা করা পর দরবাড়িয়া অবস্থিত ইট ভাটা বন্ধ হলেও।
বড়ই বাড়িতে অবস্থিত মের্সাস (বিএমবি)ইট ভাটা পরিবেশ অধিদপ্তরকে বৃদ্ধা আঙ্গুলি দেখিয়ে ফের চালু করেছে।এছাড়াও উত্তর দাড়িয়াপুর এলাকায় ৬টি ইটভাটা গুড়িয়ে দেওয়ার কয়েকদিন পর জরিমানা দিয়েই ফের চালু করেন ওইসব অবৈধ ইটভাটা।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, কালিয়াকৈর উপজেলায় ৪৩টি ইটভাটা রয়েছে তার মধ্য ১৭টি ভাটার নেই কোন পরিবেশের ছাড়পত্র। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে ফসলি জমি ধ্বংস করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ঘনবসতি এলাকায় ইটভাটা নির্মাণ করে আসছে ইট ব্যবসায়ীরা।
চলতি মাসেই ঢাকা,গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জসহ আশে-পাশের সকল অবৈধ ইটভাটা ১৫দিনের মধ্যে ভেঙে ফেলার নির্দেশ প্রদান করেন হাইকোর্ট।এ নির্দেশ অনুযায়ী গেল ১১ডিসেম্বর বুধবার দিনব্যাপি উপজেলার উত্তর দাড়িয়াপুর এলাকায় অবৈধ ইটভাটা বিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হয়। ওই এলাকায় পরিবেশগত ছাড়পত্র ছাড়া ইটভাটা কার্যক্রম পরিচালনা করার দায়ে ৬টি অবৈধ ইটভাটা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ইটভাটাগুলো কুমিদপুর ব্রিকস ম্যানুফেকচারিং (কেবিএম),রাজু রবিন ব্রিকস (আরআরবি),কিরণ ব্রিকস (কেইউবি),সান ব্রিকস (এসইউএন),খাজা মাইন উদ্দিন ব্রিকস (কেএমবি)ও স্টার ব্রিকস (এসটিএআর)।
এছাড়াও প্রত্যেক ইটভাটা মালিককে পাঁচ লাখ টাকা করে মোট ৩০লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। তবে মালিক পক্ষ বলছেন,তারা ভাটাচালাতে সুপ্রিমকোর্টের আশ্রয় নিয়েছে। এজন্যে সুপ্রিমকোর্টে একটি আবেদন করা হয়েছে তবে এখন পর্যন্ত হ্যাঁ-না কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি। উচ্চ আদালতের নির্দেশকে তোয়াক্কা না করে গুড়িয়ে দেয়া ভাটাগুলো ফের চালু করায় হতাশ এবং চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে এলাকাবাসী। তবে এঅভিযান লোক দেখানো অভিযান বলে মনে করেন এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী বলছেন,এসব ইটভাটায় কিছুসংখ্যক লোক লাভবান হলেও বেশিরভাগ মানুষের জনজীবন অতিষ্ঠিত হয়ে পড়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীরা জানান,ভাটার কালো ধোঁয়ায় শ্বাসকষ্ট,কাশি ও ঠান্ডাজ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন তারা।
আব্দুল মালেক সরকার (বিএনবি)ইট ভাটা মালিকের সাথে ইট ভাটা ফের চালু করা নিয়ে মোটোফনে (০১৭১১৬২০১৩৫) কথা বললে তিনি কোন সন্তোষ জনক উত্তর না দিয়ে বলে মোবাইলে কথা বলে বুঝাতে পারবনা আপনি একবার ইট ভাটায় এসে কাগজ পত্র দেখে যায়েন।
গাজীপুর জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক মো.আব্দুস সালাম সরকার জানান, আমি সংবাদ পেয়েছি যারা অভিযানের পর আবার ভাটা চালু করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। খুব তারাতারি কালিয়াকৈর আবার অভিযান পরিচালনা করা হবে।