নেত্রকোনা ০৩:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

একটি বারো বছরের কিশোরীর অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার বাস্তবধর্মী উপন্যাস “নরক নন্দিনী”

নেত্রকোনা সরকারি কলেজের স্নাতক প্রথম বর্ষ ছাত্রী ১৮ বছরের কিশোরী ছাত্রী নিশাত তাবাসসুম প্রাপ্তির দ্বিতীয় উপন্যাস “নরক নন্দিনী ” এবার অমর একুশে বইমেলা ২০২০ এ ছায়াবীথি প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়েছে।

এছাড়াও ১৪ ফেব্রæয়ারী সন্ধ্যায় নেত্রকোনার বকুল তলার ২৪তম বসন্তকালীন সাহিত্য উৎসবে বইটির পাঠ উন্মোচন করেন এটিএন নিউজ এর নিবার্হী পরিচালক মুন্নি সাহা সহ ঢাকায় কর্মরত সাংবাদিক বৃন্দ।

নিশাত তাবাসসুম প্রাপ্তি উপন্যাস “নরক নন্দিনী ” বিষয়ে বলেন, একটি বারো বছরের কিশোরীর অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার একটি বাস্তবধর্মী উপন্যাস। কন্যা জায়া জননী। একজন নারীকে সমাজ কিছু অভিধা দেয়। কখনো কখনো সমাজের দুষ্টক্ষত যখন দগদগে ঘায়ে পরিণত হয়।

সেখানে থেকে একজন নারীর কলংকিত পরিচয়ও তৈরি করা যায়। যখন কোন নারী সফল হয় তার পরিচয় হয় নারীত্ব দিয়ে, আর যখন কেউ ঝড়ে পড়ে তার পরিচয় হয় সতীত্ব দিয়ে।সমাজের ঘাত-প্রতিঘাত আর পোড় খাওয়া একটি নারীর চারপাশে ঘিরে থাকে কিছু নারীরূপী ডাইনি আর পুরুষরূপী দাঁতল সরীসৃপ। নারী সত্ত¡া পেলেই হলো,সে সাত বছরের কন্যা হোক কিবাং বারো বছরের কিশোরী। অন্ধকারের চোরাগলিতে নারী দেহ মানেই ব্যবসার বাটখারা। যেখানে শকূনেরা ছিড়ে খায় মানুষের সুখ আর সত্ত¡াকে। জীবন সেখানে নরকে পতিত একটা মৃতদেহের গল্প। সেই খরব অন্ধকারে লুকায়িত।

আমাদের শিক্ষা কি আমাদের অধিকার নিশ্চিত করছে পারছে? আইন কি আমাদের জীবনে সুরক্ষার পথ বাতলে দিচ্ছে?
নাকি আইন সুবিধা বাদীদের তৈরি সুবিধা চক্র যার ভুক্তভোগী নিচু তলার মানুষ। ন্যায়-অন্যায়ের মাত্রা যখন সমতা হারিয়ে ফেলে তখন প্রশ্ন উঠে সেই জাতীর শিক্ষা, নৈতিকতা, ধর্মীয় মূল্যবোধ কিংবা সমাজ ব্যবস্থার উপর। নীতিহীনতার উগ্রমাত্রা যখন র্যা গিং, মাদতকা, শিক্ষা বেচাকেনা আইনের ব্যক্তিকেন্দ্রীক দাসত্ব কিংবা দেহ ব্যবসায় মহামারী রূপ ধারণ করে তখন তো সে জাতীকে প্রশ্নবিদ্ধ হতেই হবে। আমিও নিজেও সেই প্রশ্নের সম্মুখে দাড়িয়ে লজ্জিত।

আমাদের অসুস্থ সমাজের একটি দূষিত রূপ। একটা কিশোরী কখনও কখনও যোদ্ধাতেও পরিণত হয় নিজের অস্তিত্ব টিকাতে। সে কি পারবে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার পক্ষে জয়ী হতে? কি হবে সেই কিশোরীর?

আরো জানতে পড়ুন নিশাত তাবাসসুম প্রাপ্তির দ্বিতীয় উপন্যাস “নরক নন্দিনী ” পাওয়া যাচ্ছে একুশে বই মেলায় ছায়াবীথি প্রকাশনীর ২৮০,২৮১,২৮২ নাম্বার স্টলে। কিংবা রকমারি থেকে অর্ডার করে পেতে পারেন এই অনন্য উপন্যাসটি।
এছাড়াও পাওয়া যাচ্ছে সকল লাইব্রেরীতে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমার বর্তমান ঠিকানা স্টেশন রোড, পূর্বধলা, নেত্রকোনা। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমার ধর্ম ইসলাম। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি। আমাদের প্রকাশনা “পূর্বকন্ঠ” স্বাধীনতার চেতনায় একটি নিরপেক্ষ জাতীয় অনলাইন । পাঠক আমাদের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরনা। পূর্বকণ্ঠ কথা বলে বাঙালির আত্মপ্রত্যয়ী আহ্বান ও ত্যাগে অর্জিত স্বাধীনতার। কথা বলে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে। ছড়িয়ে দিতে এ চেতনা দেশের প্রত্যেক কোণে কোণে। আমরা রাষ্ট্রের আইন কানুন, রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দেশপ্রেম ও রাষ্ট্রীয় আইন বিরোধী এবং বাঙ্গালীর আবহমান কালের সামাজিক সহনশীলতার বিপক্ষে পূর্বকন্ঠ কখনো সংবাদ প্রকাশ করে না। আমরা সকল ধর্মমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, কোন ধর্মমত বা তাদের অনুসারীদের অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে আমরা কিছু প্রকাশ করি না। আমাদের সকল প্রচেষ্টা পাঠকের সংবাদ চাহিদাকে কেন্দ্র করে। তাই পাঠকের যে কোনো মতামত আমরা সাদরে গ্রহন করব।

দুর্গাপুরে আওয়ামী লীগের কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

একটি বারো বছরের কিশোরীর অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার বাস্তবধর্মী উপন্যাস “নরক নন্দিনী”

আপডেট : ০৪:১৫:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২০

নেত্রকোনা সরকারি কলেজের স্নাতক প্রথম বর্ষ ছাত্রী ১৮ বছরের কিশোরী ছাত্রী নিশাত তাবাসসুম প্রাপ্তির দ্বিতীয় উপন্যাস “নরক নন্দিনী ” এবার অমর একুশে বইমেলা ২০২০ এ ছায়াবীথি প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়েছে।

এছাড়াও ১৪ ফেব্রæয়ারী সন্ধ্যায় নেত্রকোনার বকুল তলার ২৪তম বসন্তকালীন সাহিত্য উৎসবে বইটির পাঠ উন্মোচন করেন এটিএন নিউজ এর নিবার্হী পরিচালক মুন্নি সাহা সহ ঢাকায় কর্মরত সাংবাদিক বৃন্দ।

নিশাত তাবাসসুম প্রাপ্তি উপন্যাস “নরক নন্দিনী ” বিষয়ে বলেন, একটি বারো বছরের কিশোরীর অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার একটি বাস্তবধর্মী উপন্যাস। কন্যা জায়া জননী। একজন নারীকে সমাজ কিছু অভিধা দেয়। কখনো কখনো সমাজের দুষ্টক্ষত যখন দগদগে ঘায়ে পরিণত হয়।

সেখানে থেকে একজন নারীর কলংকিত পরিচয়ও তৈরি করা যায়। যখন কোন নারী সফল হয় তার পরিচয় হয় নারীত্ব দিয়ে, আর যখন কেউ ঝড়ে পড়ে তার পরিচয় হয় সতীত্ব দিয়ে।সমাজের ঘাত-প্রতিঘাত আর পোড় খাওয়া একটি নারীর চারপাশে ঘিরে থাকে কিছু নারীরূপী ডাইনি আর পুরুষরূপী দাঁতল সরীসৃপ। নারী সত্ত¡া পেলেই হলো,সে সাত বছরের কন্যা হোক কিবাং বারো বছরের কিশোরী। অন্ধকারের চোরাগলিতে নারী দেহ মানেই ব্যবসার বাটখারা। যেখানে শকূনেরা ছিড়ে খায় মানুষের সুখ আর সত্ত¡াকে। জীবন সেখানে নরকে পতিত একটা মৃতদেহের গল্প। সেই খরব অন্ধকারে লুকায়িত।

আমাদের শিক্ষা কি আমাদের অধিকার নিশ্চিত করছে পারছে? আইন কি আমাদের জীবনে সুরক্ষার পথ বাতলে দিচ্ছে?
নাকি আইন সুবিধা বাদীদের তৈরি সুবিধা চক্র যার ভুক্তভোগী নিচু তলার মানুষ। ন্যায়-অন্যায়ের মাত্রা যখন সমতা হারিয়ে ফেলে তখন প্রশ্ন উঠে সেই জাতীর শিক্ষা, নৈতিকতা, ধর্মীয় মূল্যবোধ কিংবা সমাজ ব্যবস্থার উপর। নীতিহীনতার উগ্রমাত্রা যখন র্যা গিং, মাদতকা, শিক্ষা বেচাকেনা আইনের ব্যক্তিকেন্দ্রীক দাসত্ব কিংবা দেহ ব্যবসায় মহামারী রূপ ধারণ করে তখন তো সে জাতীকে প্রশ্নবিদ্ধ হতেই হবে। আমিও নিজেও সেই প্রশ্নের সম্মুখে দাড়িয়ে লজ্জিত।

আমাদের অসুস্থ সমাজের একটি দূষিত রূপ। একটা কিশোরী কখনও কখনও যোদ্ধাতেও পরিণত হয় নিজের অস্তিত্ব টিকাতে। সে কি পারবে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার পক্ষে জয়ী হতে? কি হবে সেই কিশোরীর?

আরো জানতে পড়ুন নিশাত তাবাসসুম প্রাপ্তির দ্বিতীয় উপন্যাস “নরক নন্দিনী ” পাওয়া যাচ্ছে একুশে বই মেলায় ছায়াবীথি প্রকাশনীর ২৮০,২৮১,২৮২ নাম্বার স্টলে। কিংবা রকমারি থেকে অর্ডার করে পেতে পারেন এই অনন্য উপন্যাসটি।
এছাড়াও পাওয়া যাচ্ছে সকল লাইব্রেরীতে।