নেত্রকোনা ০৮:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আটপাড়ায় শিকারিদের ফাঁদে অতিথি পাখি

  • আপডেট : ০৬:০৭:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০১৯
  • ৩৮২

মো: আসাদুজ্জামান খান সোহাগ,আটপাড়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি:

আটপাড়া উপজেলাটি ভৌগলিক ভাবে নেত্রকোনা জেলার পূর্বে হাওর অঞ্চলের অন্তর্ভূক্ত। বিগত সময় থেকে প্রতি বছরই শীত মৌসুম শুরুতেই এই অঞ্চলের জলাশয় গুলোতে অতিথি পাখির আগমন ঘটে। তবে পূর্বে অধিক পরিমাণ অতিথি পাখি এ অঞ্চলে আসলেও বর্তমানে শিকারিদের অত্যাচারে অতিথি পাখির আগমন দিন দিন কমে আসছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, বামুন ডহর, হেলুচিয়া, হাঁসকড়ি, মাগুরা, গনেশের হাওরসহ বিভিন্ন জলায়শ গুলোতে অতিথি পাখি আসতে শুরু করেছে। অতিথি পাখির মধ্যে স্থানীয় নাম শামুক গুজা, সরালি, বক, বটিহাঁস বিভিন্ন জলায়শ গুলোতে আসতে শুরু করেছে। প্রতি বছরই এক দল স্বার্থন্বেষী শিকারিরা ইয়ারগান ও স্থানীয় বিভিন্ন কৌশলে পাখি শিকার করে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল শনিবার আটপাড়া ব্রæজের বাজারে এক কিশোরকে বিক্রয়ের জন্য বক নিয়ে দাড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। সে জানায় আমার পিতা রাতের আঁধারে বিলে পাখি আসা-যাওয়ার পথে জাল দিয়ে ফাঁদ তৈরী করে শীতকালে প্রতিবছরই পাখি শিকার করে থাকে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, নেত্রকোনার উজান এলাকা থেকে দল বেঁধে শিকারিরা আটপাড়ার বিভিন্ন জলাশয় গুলোতে রাতের আঁধারে অতিথি পাখিসহ স্থানীয় পাখি শিকার করছে। ভোজন বিলাসিরা তাদের নিকট থেকে উচ্চ মূল্যে পাখি ক্রয় করায় শিকারিদের এই পেশার প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে। অবৈধ ভাবে পাখি শিকারের ফলে অতিথি পাখি আগমন বন্ধ এবং স্থানীয় বিভিন্ন প্রজাতির পাখি বিলুপ্ত হওয়ার পথে। এতে প্রাকৃতিক জীব-বৈচিত্র ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ছে। স্থানীয় সচেতন মহল অবৈধ ভাবে পাখি শিকার বন্ধের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি। আমাদের প্রকাশনা “পূর্বকন্ঠ” স্বাধীনতার চেতনায় একটি নিরপেক্ষ জাতীয় অনলাইন । পাঠক আমাদের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরনা। পূর্বকণ্ঠ কথা বলে বাঙালির আত্মপ্রত্যয়ী আহ্বান ও ত্যাগে অর্জিত স্বাধীনতার। কথা বলে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে। ছড়িয়ে দিতে এ চেতনা দেশের প্রত্যেক কোণে কোণে। আমরা রাষ্ট্রের আইন কানুন, রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দেশপ্রেম ও রাষ্ট্রীয় আইন বিরোধী এবং বাঙ্গালীর আবহমান কালের সামাজিক সহনশীলতার বিপক্ষে পূর্বকন্ঠ কখনো সংবাদ প্রকাশ করে না। আমরা সকল ধর্মমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, কোন ধর্মমত বা তাদের অনুসারীদের অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে আমরা কিছু প্রকাশ করি না। আমাদের সকল প্রচেষ্টা পাঠকের সংবাদ চাহিদাকে কেন্দ্র করে। তাই পাঠকের যে কোনো মতামত আমরা সাদরে গ্রহন করব।
জনপ্রিয়

পূর্বধলায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিনের দাফন সম্পন্ন

আটপাড়ায় শিকারিদের ফাঁদে অতিথি পাখি

আপডেট : ০৬:০৭:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০১৯

মো: আসাদুজ্জামান খান সোহাগ,আটপাড়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি:

আটপাড়া উপজেলাটি ভৌগলিক ভাবে নেত্রকোনা জেলার পূর্বে হাওর অঞ্চলের অন্তর্ভূক্ত। বিগত সময় থেকে প্রতি বছরই শীত মৌসুম শুরুতেই এই অঞ্চলের জলাশয় গুলোতে অতিথি পাখির আগমন ঘটে। তবে পূর্বে অধিক পরিমাণ অতিথি পাখি এ অঞ্চলে আসলেও বর্তমানে শিকারিদের অত্যাচারে অতিথি পাখির আগমন দিন দিন কমে আসছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, বামুন ডহর, হেলুচিয়া, হাঁসকড়ি, মাগুরা, গনেশের হাওরসহ বিভিন্ন জলায়শ গুলোতে অতিথি পাখি আসতে শুরু করেছে। অতিথি পাখির মধ্যে স্থানীয় নাম শামুক গুজা, সরালি, বক, বটিহাঁস বিভিন্ন জলায়শ গুলোতে আসতে শুরু করেছে। প্রতি বছরই এক দল স্বার্থন্বেষী শিকারিরা ইয়ারগান ও স্থানীয় বিভিন্ন কৌশলে পাখি শিকার করে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল শনিবার আটপাড়া ব্রæজের বাজারে এক কিশোরকে বিক্রয়ের জন্য বক নিয়ে দাড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। সে জানায় আমার পিতা রাতের আঁধারে বিলে পাখি আসা-যাওয়ার পথে জাল দিয়ে ফাঁদ তৈরী করে শীতকালে প্রতিবছরই পাখি শিকার করে থাকে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, নেত্রকোনার উজান এলাকা থেকে দল বেঁধে শিকারিরা আটপাড়ার বিভিন্ন জলাশয় গুলোতে রাতের আঁধারে অতিথি পাখিসহ স্থানীয় পাখি শিকার করছে। ভোজন বিলাসিরা তাদের নিকট থেকে উচ্চ মূল্যে পাখি ক্রয় করায় শিকারিদের এই পেশার প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে। অবৈধ ভাবে পাখি শিকারের ফলে অতিথি পাখি আগমন বন্ধ এবং স্থানীয় বিভিন্ন প্রজাতির পাখি বিলুপ্ত হওয়ার পথে। এতে প্রাকৃতিক জীব-বৈচিত্র ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ছে। স্থানীয় সচেতন মহল অবৈধ ভাবে পাখি শিকার বন্ধের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।