মো: আসাদুজ্জামান খান সোহাগ,আটপাড়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি:
আটপাড়া উপজেলাটি ভৌগলিক ভাবে নেত্রকোনা জেলার পূর্বে হাওর অঞ্চলের অন্তর্ভূক্ত। বিগত সময় থেকে প্রতি বছরই শীত মৌসুম শুরুতেই এই অঞ্চলের জলাশয় গুলোতে অতিথি পাখির আগমন ঘটে। তবে পূর্বে অধিক পরিমাণ অতিথি পাখি এ অঞ্চলে আসলেও বর্তমানে শিকারিদের অত্যাচারে অতিথি পাখির আগমন দিন দিন কমে আসছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বামুন ডহর, হেলুচিয়া, হাঁসকড়ি, মাগুরা, গনেশের হাওরসহ বিভিন্ন জলায়শ গুলোতে অতিথি পাখি আসতে শুরু করেছে। অতিথি পাখির মধ্যে স্থানীয় নাম শামুক গুজা, সরালি, বক, বটিহাঁস বিভিন্ন জলায়শ গুলোতে আসতে শুরু করেছে। প্রতি বছরই এক দল স্বার্থন্বেষী শিকারিরা ইয়ারগান ও স্থানীয় বিভিন্ন কৌশলে পাখি শিকার করে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল শনিবার আটপাড়া ব্রæজের বাজারে এক কিশোরকে বিক্রয়ের জন্য বক নিয়ে দাড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। সে জানায় আমার পিতা রাতের আঁধারে বিলে পাখি আসা-যাওয়ার পথে জাল দিয়ে ফাঁদ তৈরী করে শীতকালে প্রতিবছরই পাখি শিকার করে থাকে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, নেত্রকোনার উজান এলাকা থেকে দল বেঁধে শিকারিরা আটপাড়ার বিভিন্ন জলাশয় গুলোতে রাতের আঁধারে অতিথি পাখিসহ স্থানীয় পাখি শিকার করছে। ভোজন বিলাসিরা তাদের নিকট থেকে উচ্চ মূল্যে পাখি ক্রয় করায় শিকারিদের এই পেশার প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে। অবৈধ ভাবে পাখি শিকারের ফলে অতিথি পাখি আগমন বন্ধ এবং স্থানীয় বিভিন্ন প্রজাতির পাখি বিলুপ্ত হওয়ার পথে। এতে প্রাকৃতিক জীব-বৈচিত্র ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ছে। স্থানীয় সচেতন মহল অবৈধ ভাবে পাখি শিকার বন্ধের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।