নেত্রকোনা ০২:১১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আটপাড়ায় ঝিমিয়ে পড়েছে ক্রীড়াঙ্গন তৈরী হচ্ছেনা ভাল মানের খেলোয়াড়

নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলা দীর্ঘদিন ফুটবলসহ বিভিন্ন টুর্নামেন্ট না হওয়ায় শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামটি পরিত্যক্ত হওয়ার উপক্রম হচ্ছে। এই মাঠেই প্রতি বৎসর করা হয় স্বাধীনতা ও বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ। ক্রীড়াঙ্গনের সাথে সম্পৃক্তরা জানান, ক্রীড়াঙ্গনের স্তবিরতার কারণে আটপাড়া উপজেলা থেকে ফুটবল, ক্রিকেট, হকি, কাবাডি, ভলিবলসহ বিভিন্ন খেলায় ভালো মানের কোন খেলোয়াড় উঠে আসছে না।

সরজমিনে দেখা যায়, খেলার মাঠটিতে এলাকাবাসী গরু চড়ায়, প্রতিনিয়ত মোটরসাইকেলসহ ছোট ছোট যান-বাহন প্রতিনিয়ত মাঠ ভিতর দিয়ে চলাচল করে। খেলাধুলা না থাকায় মাঠ জোরে শ্মশ্বান নিরবতা।

এলাকার প্রবীণ খেলোয়াড়রা জানান, ৭০-৮০ দশকে বছর জোরেই মাঠটি মুখরিত থাকত জমজমাট ফুটবলের আসরে। উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে ফুটবল টুর্নামেন্ট না হওয়ায় যেমন ভাল মানের খেলোয়াড় তৈরী হচ্ছে না। ঠিক তেমনি ভাবে মাঠটি অবহেলায় পড়ে আছে। এক সময় এই মাঠ থেকে ভালো মানের খেলোয়াড় ঢাকার বড় বড় ক্লাব গুলোতে স্থান করে নিয়েছেন। কিন্তু এ রকমটা এখন আর দেখা যাচ্ছে না।

এতে উপজেলার ক্রীড়া দর্শকরা হতাশা প্রকাশ করে বলেন, সরকার খেলাধুলার মান উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু আমাদের উপজেলায় খেলাধুলায় সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। তাই কর্তৃপক্ষের জরুরী ভিত্তিতে বিভিন্ন টুর্নামেন্ট আয়োজন করে ক্রীড়াঙ্গনের দর্শকদের আনন্দ দেয়া প্রয়োজন। এতে ঝিমিয়ে পড়া খেলোয়াড়দের মাঝে স্বপ্ন দেখা দিবে এবং মাঠের পরিবেশর দৃষ্টি নন্দনসহ ক্রীড়াঙ্গনের দর্শকদের মাঝে আনন্দ ফিরে আসবে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি। আমাদের প্রকাশনা “পূর্বকন্ঠ” স্বাধীনতার চেতনায় একটি নিরপেক্ষ জাতীয় অনলাইন । পাঠক আমাদের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরনা। পূর্বকণ্ঠ কথা বলে বাঙালির আত্মপ্রত্যয়ী আহ্বান ও ত্যাগে অর্জিত স্বাধীনতার। কথা বলে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে। ছড়িয়ে দিতে এ চেতনা দেশের প্রত্যেক কোণে কোণে। আমরা রাষ্ট্রের আইন কানুন, রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দেশপ্রেম ও রাষ্ট্রীয় আইন বিরোধী এবং বাঙ্গালীর আবহমান কালের সামাজিক সহনশীলতার বিপক্ষে পূর্বকন্ঠ কখনো সংবাদ প্রকাশ করে না। আমরা সকল ধর্মমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, কোন ধর্মমত বা তাদের অনুসারীদের অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে আমরা কিছু প্রকাশ করি না। আমাদের সকল প্রচেষ্টা পাঠকের সংবাদ চাহিদাকে কেন্দ্র করে। তাই পাঠকের যে কোনো মতামত আমরা সাদরে গ্রহন করব।
জনপ্রিয়

পূর্বধলায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিনের দাফন সম্পন্ন

আটপাড়ায় ঝিমিয়ে পড়েছে ক্রীড়াঙ্গন তৈরী হচ্ছেনা ভাল মানের খেলোয়াড়

আপডেট : ১০:০৪:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০১৯

নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলা দীর্ঘদিন ফুটবলসহ বিভিন্ন টুর্নামেন্ট না হওয়ায় শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামটি পরিত্যক্ত হওয়ার উপক্রম হচ্ছে। এই মাঠেই প্রতি বৎসর করা হয় স্বাধীনতা ও বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ। ক্রীড়াঙ্গনের সাথে সম্পৃক্তরা জানান, ক্রীড়াঙ্গনের স্তবিরতার কারণে আটপাড়া উপজেলা থেকে ফুটবল, ক্রিকেট, হকি, কাবাডি, ভলিবলসহ বিভিন্ন খেলায় ভালো মানের কোন খেলোয়াড় উঠে আসছে না।

সরজমিনে দেখা যায়, খেলার মাঠটিতে এলাকাবাসী গরু চড়ায়, প্রতিনিয়ত মোটরসাইকেলসহ ছোট ছোট যান-বাহন প্রতিনিয়ত মাঠ ভিতর দিয়ে চলাচল করে। খেলাধুলা না থাকায় মাঠ জোরে শ্মশ্বান নিরবতা।

এলাকার প্রবীণ খেলোয়াড়রা জানান, ৭০-৮০ দশকে বছর জোরেই মাঠটি মুখরিত থাকত জমজমাট ফুটবলের আসরে। উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে ফুটবল টুর্নামেন্ট না হওয়ায় যেমন ভাল মানের খেলোয়াড় তৈরী হচ্ছে না। ঠিক তেমনি ভাবে মাঠটি অবহেলায় পড়ে আছে। এক সময় এই মাঠ থেকে ভালো মানের খেলোয়াড় ঢাকার বড় বড় ক্লাব গুলোতে স্থান করে নিয়েছেন। কিন্তু এ রকমটা এখন আর দেখা যাচ্ছে না।

এতে উপজেলার ক্রীড়া দর্শকরা হতাশা প্রকাশ করে বলেন, সরকার খেলাধুলার মান উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু আমাদের উপজেলায় খেলাধুলায় সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। তাই কর্তৃপক্ষের জরুরী ভিত্তিতে বিভিন্ন টুর্নামেন্ট আয়োজন করে ক্রীড়াঙ্গনের দর্শকদের আনন্দ দেয়া প্রয়োজন। এতে ঝিমিয়ে পড়া খেলোয়াড়দের মাঝে স্বপ্ন দেখা দিবে এবং মাঠের পরিবেশর দৃষ্টি নন্দনসহ ক্রীড়াঙ্গনের দর্শকদের মাঝে আনন্দ ফিরে আসবে।