নেত্রকোনা ০১:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অধ্যাপক যতীন সরকারের ৮৪তম জন্মদিনে বর্নাঢ়্য আয়োজন

  • আপডেট : ০৭:৩১:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ অগাস্ট ২০১৯
  • ৪৫১

কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন, নেত্রকোনা :

‘এ জীবন নিত্যই নূতন, প্রতি প্রাতে আলোকিত-পূলকিত দিনের মতন’ শ্লোগানে অধ্যাপক যতীন সরকারের ৮৪তম জন্মদিনে আমাদের ভালোবাসা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে নেত্রকোনা জন্মদিন উদযাপন পর্ষদ। প্রতি বছরের ন্যায় প্রতিবারই এক একটি পর্ষদ গঠন করে নেত্রকোনার এই গুনীজনের জন্মদিন পালন করা হয়।

রবিবার (১৮ আগষ্ট) বিকালে যতীন সরকারের সাতপাই বানপ্রস্থ বাস ভবনে এ জন্মদিনের আয়োজন করা হয়। অধ্যাপক যতীন সরকারের সহধর্মিনীর হাতে মিষ্টি পায়েশ খাওয়ানোর মধ্য দিয়ে এই জ্ঞানী মানুষটির জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠান শুরু হয়। পরে একে একে তার প্রতি ফুল ও উপহার সামগ্রী দিয়ে ভালবাসার জ্ঞাপন করা হয়। অনুষ্ঠানে ছিল কবিতা আবৃত্তি, গানসহ মনোমুগ্ধকর বিভিন্ন আয়োজন।

এতে নেত্রকোনার বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের কর্মকর্তাসহ সকল শ্রেণি পেশার মানুষ শিক্ষাবিদ প্রাবন্ধিক আলোর বাতিঘর যতীন সরকারকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে ভালোবাসায় সিক্ত করেছেন। জেলার বাইরেও যারা যতীন সরকারের ছাত্র ছিলেন কলেজ জীবনে তারাও এ আয়োাজনে এসে অংশগ্রহণ করেছেন।

তিনি ১৯৩৬ সনে ১৮ আগষ্ট এই দিনে নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার চন্দপাড়া গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। নিজ গ্রামের বিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শুরু করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনার শেষ করে অধ্যাপনা পেশায় যোগ দেন। গদ্য চর্চায় রত এই লেখকের পুস্তক প্রকাশিত হয় ৫০ বছর বয়সে।

১৯৮৫ সালে মুক্তধারা থেকে প্রকাশিত হয় ‘সাহিত্যের কাছে প্রত্যাশা’। এরপর আর থামেননি, বিরামহীনভাবে লিখে চলেছেন তিনি। লেখক যতীন সরকার স্বাধীনতা পদক (২০১০), বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার(২০০৭), বাংলা একাডেমী প্রদত্ত ড. এনামুল হক স্বর্ণপদক(১৯৬৭), খালেকদাদ চৌধুরী সাহিত্য পরস্কার(১৯৯৭), প্রথম আলোর বর্ষসেরা বই পুরস্কার(২০০৫), মনিরউদ্দিন ইউসুফ স্মৃতি পদক(১৯৯৭), ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব সাহিত্য পদক(২০০১), আলতাব আলী হাসু পুরস্কার(২০০৯)  পুরস্কারসহ পেয়েছেন অসংখ্য পুরস্কার তাঁর ৮৪ বছর এ জীবনে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি। আমাদের প্রকাশনা “পূর্বকন্ঠ” স্বাধীনতার চেতনায় একটি নিরপেক্ষ জাতীয় অনলাইন । পাঠক আমাদের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরনা। পূর্বকণ্ঠ কথা বলে বাঙালির আত্মপ্রত্যয়ী আহ্বান ও ত্যাগে অর্জিত স্বাধীনতার। কথা বলে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে। ছড়িয়ে দিতে এ চেতনা দেশের প্রত্যেক কোণে কোণে। আমরা রাষ্ট্রের আইন কানুন, রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দেশপ্রেম ও রাষ্ট্রীয় আইন বিরোধী এবং বাঙ্গালীর আবহমান কালের সামাজিক সহনশীলতার বিপক্ষে পূর্বকন্ঠ কখনো সংবাদ প্রকাশ করে না। আমরা সকল ধর্মমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, কোন ধর্মমত বা তাদের অনুসারীদের অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে আমরা কিছু প্রকাশ করি না। আমাদের সকল প্রচেষ্টা পাঠকের সংবাদ চাহিদাকে কেন্দ্র করে। তাই পাঠকের যে কোনো মতামত আমরা সাদরে গ্রহন করব।

অধ্যাপক যতীন সরকারের ৮৪তম জন্মদিনে বর্নাঢ়্য আয়োজন

আপডেট : ০৭:৩১:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ অগাস্ট ২০১৯

কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন, নেত্রকোনা :

‘এ জীবন নিত্যই নূতন, প্রতি প্রাতে আলোকিত-পূলকিত দিনের মতন’ শ্লোগানে অধ্যাপক যতীন সরকারের ৮৪তম জন্মদিনে আমাদের ভালোবাসা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে নেত্রকোনা জন্মদিন উদযাপন পর্ষদ। প্রতি বছরের ন্যায় প্রতিবারই এক একটি পর্ষদ গঠন করে নেত্রকোনার এই গুনীজনের জন্মদিন পালন করা হয়।

রবিবার (১৮ আগষ্ট) বিকালে যতীন সরকারের সাতপাই বানপ্রস্থ বাস ভবনে এ জন্মদিনের আয়োজন করা হয়। অধ্যাপক যতীন সরকারের সহধর্মিনীর হাতে মিষ্টি পায়েশ খাওয়ানোর মধ্য দিয়ে এই জ্ঞানী মানুষটির জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠান শুরু হয়। পরে একে একে তার প্রতি ফুল ও উপহার সামগ্রী দিয়ে ভালবাসার জ্ঞাপন করা হয়। অনুষ্ঠানে ছিল কবিতা আবৃত্তি, গানসহ মনোমুগ্ধকর বিভিন্ন আয়োজন।

এতে নেত্রকোনার বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের কর্মকর্তাসহ সকল শ্রেণি পেশার মানুষ শিক্ষাবিদ প্রাবন্ধিক আলোর বাতিঘর যতীন সরকারকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে ভালোবাসায় সিক্ত করেছেন। জেলার বাইরেও যারা যতীন সরকারের ছাত্র ছিলেন কলেজ জীবনে তারাও এ আয়োাজনে এসে অংশগ্রহণ করেছেন।

তিনি ১৯৩৬ সনে ১৮ আগষ্ট এই দিনে নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার চন্দপাড়া গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। নিজ গ্রামের বিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শুরু করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনার শেষ করে অধ্যাপনা পেশায় যোগ দেন। গদ্য চর্চায় রত এই লেখকের পুস্তক প্রকাশিত হয় ৫০ বছর বয়সে।

১৯৮৫ সালে মুক্তধারা থেকে প্রকাশিত হয় ‘সাহিত্যের কাছে প্রত্যাশা’। এরপর আর থামেননি, বিরামহীনভাবে লিখে চলেছেন তিনি। লেখক যতীন সরকার স্বাধীনতা পদক (২০১০), বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার(২০০৭), বাংলা একাডেমী প্রদত্ত ড. এনামুল হক স্বর্ণপদক(১৯৬৭), খালেকদাদ চৌধুরী সাহিত্য পরস্কার(১৯৯৭), প্রথম আলোর বর্ষসেরা বই পুরস্কার(২০০৫), মনিরউদ্দিন ইউসুফ স্মৃতি পদক(১৯৯৭), ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব সাহিত্য পদক(২০০১), আলতাব আলী হাসু পুরস্কার(২০০৯)  পুরস্কারসহ পেয়েছেন অসংখ্য পুরস্কার তাঁর ৮৪ বছর এ জীবনে।